মাদারীপুর সদর উপজেলার শিরখাড়া ইউনিয়নের ঘুনসি গ্রামে সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ অভিযানে দেশীয় ও বিদেশি অস্ত্রসহ নানা সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার (২৫ জুলাই) রাত থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত পরিচালিত এই অভিযানে একটি বিদেশি পিস্তল, কাটা রাইফেল, এয়ারগানসহ বিপুল সংখ্যক দেশীয় অস্ত্র ও সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।
অভিযানকালে আটক করা হয় মিলন সব্যসাচী নামের এক ব্যক্তিকে, যিনি জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) সদর উপজেলার যুগ্ম সমন্বয়কারী ও মাদারীপুর জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র তুষার সব্যসাচীর বাবা। মিলন সব্যসাচী শিরখাড়া ইউনিয়নের মৃত আ. করিম সব্যসাচীর ছেলে এবং স্থানীয়ভাবে আওয়ামী লীগের এক শীর্ষ নেতার ঘনিষ্ঠ বলে জানা গেছে।
এছাড়াও অভিযানে আরও পাঁচজনকে আটক করা হয়, যাদের মধ্যে তিনজন নারী। তাদের মধ্যে রয়েছেন কামাল মাতুব্বর (৫৩), মনু মাতুব্বর (৫০), লাকি বেগম (৪৫), পারুল বেগম (৪৫) ও খাদিজা বেগম (২৩)।
মাদারীপুর সেনা ক্যাম্পে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে জেলা পুলিশের সহযোগিতায় সেনাবাহিনী এ অভিযান পরিচালনা করে। একই পরিবারের সাতটি বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে চারটি বাড়ি থেকে বিভিন্ন অস্ত্র ও সরঞ্জাম জব্দ করা হয়। এসবের মধ্যে রয়েছে ৭.৬৫ মিমি বিদেশি পিস্তল ও ম্যাগাজিন, গুলি, এয়ারগান ও গুলি, কাটা রাইফেল, বিভিন্ন ধরনের ধারালো অস্ত্র, টর্চ লাইট, মোবাইল ফোন, ট্যাব, জাতীয় পরিচয়পত্র, পাসপোর্ট ও গাঁজা।
সেনা ক্যাম্পের কমান্ডার মেজর কাজী ফয়সাল ফারুক জানান, আটক ব্যক্তিদের কাছে কোনো বৈধ অস্ত্রের লাইসেন্স পাওয়া যায়নি। তারা এসব অবৈধ অস্ত্র ব্যবহার করে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান চলমান থাকবে বলেও তিনি জানান।
এদিকে, তুষার সব্যসাচী দাবি করেন, তাদের বাড়িতে কোনো অভিযান হয়নি। তার বাবা নির্মাণকাজ চলার কারণে প্রতিবেশীর বাড়িতে অবস্থান করছিলেন এবং সেখান থেকেই তাকে আটক করা হয়েছে। তিনি দাবি করেন, তারা কোনো অবৈধ কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত নন এবং অস্ত্রের বিষয়ে তাদের কোনো জ্ঞান নেই।