মাদারীপুরে জমি দখলের উদ্দেশ্যে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে ভুয়া মামলায় ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা মোহাম্মদ আরেফিন সিদ্দিক সুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে—এমন অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা ও একাধিক নির্ভরযোগ্য সূত্র।
স্থানীয়ভাবে অনুসন্ধান করে জানা গেছে, এক প্রভাবশালী ভূমিদস্যু চক্র দীর্ঘদিন ধরে মাদারীপুর সদর উপজেলার মহিষেরচর এলাকায় সুজনের পৈতৃক সম্পত্তি দখলের চেষ্টা করে আসছিল। এই চক্রের নেতৃত্বে রয়েছেন স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা ইব্রাহিম মাতুব্বর ও তার পৃষ্ঠপোষক স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা নান্নু মাতুব্বর। বর্তমানে তারা বিএনপির মাদারীপুর জেলা যুবদল নেতা রফিকের পৃষ্ঠপোষকতায় আবারও সক্রিয় হয়ে উঠেছে।
রাজনৈতিক পট পরিবর্তন হলেও তাদের দখলবাজিতে নতুন করে যুক্ত হয়েছে বিএনপির স্থানীয় নেতৃত্ব। নান্নু মাতুব্বর ও ইব্রাহিম মাতুব্বরের বিরুদ্ধে ২৪-এর গণআন্দোলনে ছাত্রদের ওপর হামলার অভিযোগ থাকলেও স্থানীয় বিএনপির একটি অংশ তাদের পুনর্বাসনে সক্রিয়।
গতকাল রাত সাড়ে আটটার দিকে মাদারীপুর মডেল থানার একটি দল সুজনকে আটক করে। থানার দাবি, তিনি গত জুলাইয়ের ছাত্র-জনতার আন্দোলনে পুলিশের ওপর হামলায় জড়িত ছিলেন। তবে এলাকাবাসীর ভাষ্য, সুজন দীর্ঘদিন ধরেই রাজনীতি থেকে দূরে এবং আন্দোলনের সময় এলাকায় উপস্থিতও ছিলেন না।
স্থানীয়রা বলছেন, “সুজনের একটিই অপরাধ—সে তার পৈতৃক জমি রক্ষা করতে চেয়েছে। আর তাতেই চক্রটি পুলিশের সঙ্গে আঁতাত করে মামলা সাজিয়ে তাকে তুলে নিয়েছে।”
এই ঘটনায় মাদারীপুর মডেল থানার ভূমিকা ব্যাপকভাবে সমালোচিত হচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ রয়েছে, এই থানা কিছু নির্দিষ্ট রাজনৈতিক গোষ্ঠীর স্বার্থ রক্ষায় কাজ করে এবং মিথ্যা মামলা তৈরি ও নিরীহদের হয়রানিতে জড়িত। এ বিষয়ে মাদারীপুর মডেল থানায় যোগাযোগ করা হলেও কেউ কথা বলতে রাজি হননি।