জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর বরিশাল মহানগর মৎস্যজীবী দলের যুগ্ম আহ্বায়কসহ বিএনপির ৬ নেতাকর্মীকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করেছে ১১ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সদস্য আল আমিন। সোমবার রাতে নগরীর চাঁদমারি কলোনিতে এই হামলার ঘটনা ঘটে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, আল আমিন ও তার বাহিনীর মাদক ব্যবসায় বাধা দেওয়ার কারণেই এ হামলা চালানো হয়েছে। আহতদের বরিশাল শেরেবাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় হাসপাতালে (শেবাচিম) ভর্তি করা হয়েছে।
এর আগেও ২০২৪ সালের ৪ সেপ্টেম্বর, স্টেডিয়াম কলোনি এলাকায় মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের উপর হামলা চালিয়েছিল আল আমিন। সেই ঘটনায় গ্রেফতার হয়ে কারাগারে গেলেও জামিনে মুক্তি পেয়ে এবার ফের একই ধরনের হামলা চালিয়েছে সে।
আল আমিন বরিশালের চাঁদমারি এলাকার বাসিন্দা করিম হাওলাদারের ছেলে এবং ১১ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সদস্য।
আহতরা হলেন—মৎস্যজীবী দলের যুগ্ম আহ্বায়ক ফেরদাউস হাওলাদার, ১১ নম্বর ওয়ার্ড শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক আসলাম, বিএনপি নেতা রেজাউল করিম রাজা এবং কর্মী শাহিন, কাওসার ও রাজিব খান।
আহত আসলামের ভাই আবদুর রহিম অভিযোগ করে বলেন, স্বৈরাচারী সরকার বিদায় নিলেও স্টেডিয়াম কলোনি এখনো আল আমিন বাহিনীর দখলে। সে সাবেক কাউন্সিলর মজিবর রহমানের ঘনিষ্ঠ ক্যাডার হিসেবে পরিচিত। এলাকার জমি দখল, মাদক ব্যবসাসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড এখনো চালিয়ে যাচ্ছে সে। মাদক বাণিজ্যে বাধা দেওয়ায়ই এ হামলা চালানো হয়েছে।
এ বিষয়ে ওসি মিজানুর রহমান জানান, লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।